গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে নির্বিচার হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। ওই দিন যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে পড়ার পর গাজায় নতুন করে ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং আহত হয়েছে আরও প্রায় ৫ হাজার ২০০ জন।
ইসরায়েলের নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। দ্রুতই এ প্রস্তাবের বিষয়ে সাড়া দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হামাসের মুখপাত্র সামি আবু জুহরি।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা শুরু হওয়ার পর বাদ যায়নি বিদ্যালয়, ধর্মীয় স্থাপনা, উদ্বাস্তুদের আশ্রয়স্থল, এমনকি হাসপাতালও। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ ভূখন্ডে এখন পর্যন্ত ৩৫টি হাসপাতালে হামলা করেছে কিংবা আগুন দিয়েছে ইসরায়েল বাহিনী।
ফিলিস্তিনের গাজার অন্যতম প্রধান একটি হাসপাতাল ভবনে ২টি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। আজ রোববার (১৩ এপ্রিল) ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এ হামলায় হাসপাতালটির জরুরি বিভাগ, অভ্যর্থনাকেন্দ্রসহ অন্য স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।
ফিলিস্তিনের গাজায় স্থানীয় সাংবাদিকদের একটি তাঁবুতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে এক সাংবাদিক নিহত ও ৯ জন আহত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৭ এপ্রিল) গাজার দক্ষিণাঞ্চলে এ হামলা চালানো হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘জাতিগত নির্মূল’ অভিযান চালানোর জন্য গাজার ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বিমান থেকে নির্বিচার বোমাবর্ষণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বাংলাদেশ।
ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় প্রায় ১৯ হাজার শিশু নিহত হয়েছে। মা-বাবা হারিয়ে এতিম হয়েছে ৩৯ হাজার শিশু। গাজার মোট ২৩ লাখ বাসিন্দার ৫১ শতাংশ শিশু।
ইসরায়েলি বিমান হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ-যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখন্ড গাজায় গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) ভোরে নিহত হয়েছে আরও ৩৩ জন, আহত আরও শতাধিক। সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরের হামলার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১১২ জন নিহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও অন্তত ৭৭ জন নিহত হয়েছে। গতকাল বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল থেকে রাতভর হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে গাজার মেডিকেল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের মধ্যে ঈদ উপলক্ষে চলছে উৎসবের আবহ। কিন্তু এই উপলক্ষও গাজার ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা কাটাতে পারেনি। ঈদের সময়েও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখন্ডটিতে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ঈদের দিন গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় শিশুসহ কমপক্ষে ৬৪ জন নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন।
গাজা ভূখন্ডে পৃথক ইসরায়েলি হামলায় ২ জন গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছে। তাদের একজন আল-জাজিরার সাংবাদিক। তাঁর নাম হোসাম শাবাত। বয়স ২৩ বছর। তিনি আল-জাজিরা মুবাশ্বেরে কর্মরত ছিলেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাতে বলেছেন, গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে 'পূর্ণ শক্তিতে লড়াই শুরু করেছে' তেলআবিব।
বাংলাদেশ সরকারের ভাড়া করা আমিরাত এয়ারলাইনসের ইকে-৫৮৪ ফ্লাইটে রাত ১১টায় তারা দেশে পৌঁছান। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৯টি ফ্লাইটে লেবানন থেকে নিরাপদে দেশে ফিরে এলেন মোট ৯৬৩ বাংলাদেশি।
গাজা ভূখন্ডে চলমান যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে জাতিহত্যা (জেনোসাইড) চালাচ্ছে ইসরায়েল। অ্যামনেস্টি বলেছে, কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন ঘটনা ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বক্তব্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে তারা এমন উপসংহারে পৌঁছেছে।
ইসরায়েলের ট্যাংক গাজা ভূখন্ডের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকাগুলোর বেশ গভীরে ঢুকে পড়েছে এবং ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৪২ জন নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখন্ডে এক বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ১ হাজারের বেশি চিকিৎসক ও নার্স নিহত হয়েছেন।
গাজায় গত দুই দিনে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ১২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শনিবার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, গাজা সিটির জয়তুন এলাকায় রাতে একটি আবাসিক ভবনে হামলায় অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছেন।
লেবাননের রাজধানী বৈরুতের বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। আজ শনিবার (২৩ নভেম্বর) বৈরুতের মধ্যাঞ্চলে একটি আবাসিক ভবনে হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী লেবাননে দুই মাস আগে হামলা জোরদার করার পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে ইসরায়েলি বোমার আঘাতে ২০০ শর বেশি শিশু নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এ তথ্য জানিয়েছে।